পুকুর প্রস্তুতির গুরত্বিপূর্ণ কাজ হলো পুকুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী বা ঘের তৈরী করা। পুকুরের চার পাড়ে বর্ষাকালের পানির লেভেলের অন্তত ২ফুট উপরে শক্ত করে অবশ্যই ঘের দিতে হবে। ঘের না দিলে বৃষ্টির সময় কানকো দিয়ে পরিভ্রমন করে কৈ মাছ পাড় বেয়ে পুকুরের বাইরে চলে যেতে পারে। সাধারণত কৈ মাছ পানিতে ১.৫ ফুট পর্যন্ত লাফ দিতে পারে। কিন্তু শুকনো স্থানে লাফ দিতে পারে না। তাই ১ ফুট থেকে ১.৫ ফুট উচু পর্যন্ত ঘের দিলেও চলে।
তবে সাপ ব্যাঙ প্রভৃতি শত্রু“র হাত থেকে রক্ষার জন্য ঘের কমপক্ষে ২.৫ উচু দেয়া বাঞ্চনীয়। এখানে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, কি দিয়ে ঘের তৈরী করতে হবে..? ঘন ফ্যাসের নাইলন জাল বা বাশের বানা দিয়ে ঘের তৈরী করা যায়। স্থায়ী ভাবে করতে চাইলে ইটের ঘাখুনি দিয়েও ঘের দেয়া যায়। ঘের দেয়ার সময় সর্তকতার সাথে লক্ষ্য রাথতে হবে যেন নীচের অংশে কোন ফাকা না থাকে এবং ঘের যেন মজবতু ও টেকসই হয়। ঘের দেয়ার ব্যাপারে কোন গাফিলতি করলে পরবতী পর্যায়ে চাষি চরম ভাবে আথির্ক ক্ষতির সম্মুখিন হয়।
ঘের তৈরীর সামগ্রী
- নাইলনের জাল
- বাঁশের খুটি/গাছের ডালের খুটি
- সুতলি
- কোদাল ইত্যাদি।
বেষ্টনী তৈরী
- পুকুর পাড়ের উপর চর্তুদিকে ৬ ইঞ্চি গভীর করে পরিখা খনন করতে হবে।
- পরে এই গর্তের মধ্যে ৮-১০ ফুট পর পর বাঁশের খুটি/গাছের ডাল শক্ত করে পুঁতে দিতে হবে।
- এরপর নাইলনের নেট দ্ধারা পুকুর পাড়ের চর্তুদিকে ঘিরে ফেলতে হবে।
- পরিখার ভিতর নেট ডুকিয়ে পরিখা খনের মাটি দিয়ে নেটকে শক্ত করে মাটির সংঙ্গে আটকে দিতে হবে।
বেষ্টনী তৈরীর সময়
- সাধারণত পুকুর শুকানোর পর বেষ্টনী তৈরী করতে হবে।
- পুকুরে পানি না থাকলে ব্যাঙ, সাপ ইত্যাদি ক্ষতিকর প্রাণী পুকুরে থাকে না।
- পানি ভর্তি করার পর পরই পানিতে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণী পুকুরে প্রবেশ করে।
- তাই পুকুর সেচ দেয়ার পর পরই বেষ্টনী তৈরী করে পরে পুকুর প্রস্তুতির অন্যান্য কাজ করতে হবে।
বেষ্টনী পর্যবেক্ষণ
- প্রতিদিনের রুটিনের কাজ হতে হবে পুকুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী পর্যবেক্ষণ করা।
- কারণ বাতাস, বন্য প্রাণি ইত্যাদি বেষ্টনী উঠিয়ে ফেলতে পারে।
- বাণিজ্যিক খামারে বেশী ঘনত্বে মাছ চাষ করা হয় বিধায় কুকুর ও শিয়ালকে বড় বড় মাছ ধরে খেতে দেখা গেছে।
- তাই এ সকল প্রাণী বেষ্টনীর ক্ষতি করতে পারে।
লেখক
আঃ মালেক
মৌচাক, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।